আশ্রয়
হঠাৎ ঠুনকো আলোয় এসেছিলো ঘরে,
তবু বড় ব্যাথা কেনো ছেড়ে যেতে তারে?
জগতের জায়গা পূর্ন করে,
সবই দিয়াছি তারে ভরে
রাখিনি কিছু মোর,
বাঁচিবার তরে।
সেই যে প্রথম দেখা,
সস্তা পাড়ের শাড়ির আঁচলে,
সমস্ত অহংকার বৃথা।
নগ্ন বেলার বিষাদ পূর্ন দিন
ছিল মুক্তা ছড়ানো হাসি,
হৃদয়ে বেজেছে বীন।
যেন এমন হাসি হাজার বছর দেখিনি।
সাঁঝের পরে সমস্ত আকাশে তারা খুজেছি,
সাগর পানে দাঁড়িয়ে দূরের ভেলায়,
মেঘের পাল দেখেছি।
তার চেয়ে মুগ্ধ মাধবী লতার বসন্ত বরন;
নাটোরের বনলতা সেন পড়েছি,
সেটা আরো মুগ্ধ,
তবু এমন হাসি হাজার বছর দেখিনি,
এমন ছোঁয়া
হাজার বছর পাইনি,
শুধু রিক্ত মনে আশ্রয় খুজেছি।
ধেয়ে চলা ধরণীতে,
ছুটেছি আমি শিশির ভোরে,
সন্ধ্যা হলেও থেমেছি না’ক
অস্ত পাড়ের সূর্য্য বলে-
উজান গাঙ্গে বাইবি কতো?
যদিও দেখা নাই’বা হত,
স্তব্ধ ভেলা তীরেই যেতো,
চলতো সবুজ ঘাষের ডগায়,
ইচ্ছে হলেই যেতাম হেথায়,
সেই শান্তি পাড়ের পানে,
বৃথা কল্পনা মোর মনে,
তোমায় হারিয়ে ফেলার ক্ষনে।
আবার ঠুনকো আলোর মতো,
মেঘের মোহ আসবে শত,
সাঁজবে সবুজ রঙে যত,
তবু তোমার মত হবে না’ক।
মানবের হৃদয় যাহা পিছনে ভুলিয়া যায়,
তোমার বেলায় না ভুলে তাহা,
কেমন করিয়া হয়!
এইখানেই মোর হৃদয় বাধিয়া
পেয়েছি আশ্রয়।
তাই তোমারে রেখেছি,
গহীন হৃদয়ে তলে
জীবন ভেলা না থামে যেনো,
ভাসায়ে আঁখি জলে।।
আহমেদ সুমন
শিক্ষার্থী,সরকারী আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া